সনাতন ধর্মাবলম্বীদের সবচেয়ে বড় উৎসব শারদীয় দুর্গাপূজা ঘিরে রাজশাহীতে চলছে শেষ মুহূর্তের প্রস্তুতি। কারিগরদের রং-তুলির আঁচড়ে প্রাণ পাচ্ছে দেবী দুর্গার প্রতিমা। আগামী ২৮ সেপ্টেম্বর থেকে ২ অক্টোবর পর্যন্ত চলবে এই উৎসব। দেবীর আগমনী বার্তায় ভক্তকুলে এরই মধ্যে সাজ সাজ রব।
নগরীর ধর্মসভা মন্দিরের গণেশ পাল, শেখেরচকের কার্তিক পাল, হড়গ্রামের অনন্ত পাল, রনজিত পাল, ষষ্ঠীতলার অরুণ কুমার পাল এবং রেশমপট্টির সুশীল পালের হাতে এখন প্রতিমা নির্মাণের ব্যস্ততা। তাদের মতো জেলায় প্রায় ৪০টি পাল পরিবার দিনরাত প্রতিমা গড়ছেন নিজেদের আঙিনায়। মাটি, খড় ও বাঁশের কাঠামোয় নিপুণ হাতে ফুটে উঠছে ঐশ্বর্যের রূপ।
মৃৎশিল্পী কার্তিক চন্দ্র পাল জানান, বর্তমানে রং করার কাজ চলছে এবং কাজের প্রচুর চাপ। আজ, কাল ও পরশুর মধ্যেই সব প্রতিমা হস্তান্তর করতে হবে। তিনি এবার ২৮টি প্রতিমার কাজ করছেন, যার মধ্যে তিনটি শহরের বাইরে এবং বাকি ২৫টি শহরের বিভিন্ন মÐপে যাবে।
প্রতিমা তৈরির পাশাপাশি মÐপ সাজসজ্জায় ব্যস্ত সময় পার করছেন কর্মীরা। নগরের বিভিন্ন স্থানে শেষ মুহূর্তের প্যান্ডেল তৈরির কাজও চলছে জোরেশোরে। রাজশাহী মহানগর পূজা উদযাপন ফ্রন্টের সভাপতি সুব্রত রায় জানিয়েছেন, নির্বিঘ্নে পূজা উদযাপনের জন্য প্রতিটি মন্ডপে ১০ জনের একটি স্বেচ্ছাসেবক দল থাকবে।
এবার রাজশাহী মহানগরীতে ৮০টি এবং জেলায় ৪১২টি মিলে মোট ৪৯২টি মন্ডপে দুর্গাপূজা অনুষ্ঠিত হবে। অধিকাংশ মন্ডপই এখন প্রস্তুত, শিগগিরই মন্ডপগুলোতে প্রতিমা শোভা পাবে। উৎসবকে ঘিরে নিরাপত্তা জোরদার করেছে প্রশাসন। পুলিশের পাশাপাশি র্যাব, আনসার এবং সাদা পোশাকের গোয়েন্দারা প্রতিমা নির্মাণ কেন্দ্র ও মন্ডপগুলোতে নিবিড় নজরদারি চালাচ্ছেন।
গত মঙ্গলবার রাজশাহী নগরের বিভিন্ন পূজামন্ডপ পরিদর্শন করেন র্যাব-৫ এর অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল মাসুদ পারভেজ। তিনি সাংবাদিকদের জানান, দুর্গাপূজা নিয়ে কোনো ধরনের হুমকি নেই। ষষ্ঠী পূজা থেকে মন্ডপ এবং রাস্তাগুলোতে বিশেষ নজরদারি থাকবে। তিনি বলেন, হুমকি পর্যবেক্ষণ করেছি। বিশেষ কোনো হুমকি নেই। তারপরও আমরা নিরাপত্তাব্যবস্থাকে তিনটি ভাগে ভাগ করেছি। কোনো ধরনের অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটবে না বলে আশা করি।
মাসুদ পারভেজ আরও বলেন, বাংলাদেশ একটি অসাম্প্রদায়িক দেশ, যেখানে সব ধর্মের মানুষ স্বাচ্ছন্দ্যে তাদের নিজ নিজ ধর্ম পালন করতে পারেন। তিনি গতবারের উদাহরণ টেনে বলেন, মাদরাসার ছাত্ররাও মন্ডপ পাহারা দিয়েছে।
নগরীর ধর্মসভা মন্দিরের গণেশ পাল, শেখেরচকের কার্তিক পাল, হড়গ্রামের অনন্ত পাল, রনজিত পাল, ষষ্ঠীতলার অরুণ কুমার পাল এবং রেশমপট্টির সুশীল পালের হাতে এখন প্রতিমা নির্মাণের ব্যস্ততা। তাদের মতো জেলায় প্রায় ৪০টি পাল পরিবার দিনরাত প্রতিমা গড়ছেন নিজেদের আঙিনায়। মাটি, খড় ও বাঁশের কাঠামোয় নিপুণ হাতে ফুটে উঠছে ঐশ্বর্যের রূপ।
মৃৎশিল্পী কার্তিক চন্দ্র পাল জানান, বর্তমানে রং করার কাজ চলছে এবং কাজের প্রচুর চাপ। আজ, কাল ও পরশুর মধ্যেই সব প্রতিমা হস্তান্তর করতে হবে। তিনি এবার ২৮টি প্রতিমার কাজ করছেন, যার মধ্যে তিনটি শহরের বাইরে এবং বাকি ২৫টি শহরের বিভিন্ন মÐপে যাবে।
প্রতিমা তৈরির পাশাপাশি মÐপ সাজসজ্জায় ব্যস্ত সময় পার করছেন কর্মীরা। নগরের বিভিন্ন স্থানে শেষ মুহূর্তের প্যান্ডেল তৈরির কাজও চলছে জোরেশোরে। রাজশাহী মহানগর পূজা উদযাপন ফ্রন্টের সভাপতি সুব্রত রায় জানিয়েছেন, নির্বিঘ্নে পূজা উদযাপনের জন্য প্রতিটি মন্ডপে ১০ জনের একটি স্বেচ্ছাসেবক দল থাকবে।
এবার রাজশাহী মহানগরীতে ৮০টি এবং জেলায় ৪১২টি মিলে মোট ৪৯২টি মন্ডপে দুর্গাপূজা অনুষ্ঠিত হবে। অধিকাংশ মন্ডপই এখন প্রস্তুত, শিগগিরই মন্ডপগুলোতে প্রতিমা শোভা পাবে। উৎসবকে ঘিরে নিরাপত্তা জোরদার করেছে প্রশাসন। পুলিশের পাশাপাশি র্যাব, আনসার এবং সাদা পোশাকের গোয়েন্দারা প্রতিমা নির্মাণ কেন্দ্র ও মন্ডপগুলোতে নিবিড় নজরদারি চালাচ্ছেন।
গত মঙ্গলবার রাজশাহী নগরের বিভিন্ন পূজামন্ডপ পরিদর্শন করেন র্যাব-৫ এর অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল মাসুদ পারভেজ। তিনি সাংবাদিকদের জানান, দুর্গাপূজা নিয়ে কোনো ধরনের হুমকি নেই। ষষ্ঠী পূজা থেকে মন্ডপ এবং রাস্তাগুলোতে বিশেষ নজরদারি থাকবে। তিনি বলেন, হুমকি পর্যবেক্ষণ করেছি। বিশেষ কোনো হুমকি নেই। তারপরও আমরা নিরাপত্তাব্যবস্থাকে তিনটি ভাগে ভাগ করেছি। কোনো ধরনের অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটবে না বলে আশা করি।
মাসুদ পারভেজ আরও বলেন, বাংলাদেশ একটি অসাম্প্রদায়িক দেশ, যেখানে সব ধর্মের মানুষ স্বাচ্ছন্দ্যে তাদের নিজ নিজ ধর্ম পালন করতে পারেন। তিনি গতবারের উদাহরণ টেনে বলেন, মাদরাসার ছাত্ররাও মন্ডপ পাহারা দিয়েছে।